সিওমেকে 'বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস' উপলক্ষে 'বৈজ্ঞানিক সভা' অনুষ্ঠিত || মানসলোক ||
১০ সেপ্টেম্বর, রবিবার, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে পালিত হল 'বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস'। বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরকেএস রয়েল'র সভাপতিত্বে আয়োজিত 'বৈজ্ঞানিক সভা'তে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. বিপ্লব কুমার রায়। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. আশিক আনোয়ার বাহার, ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার, প্যাথলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শামীম আকতার মিমি, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. হাফিজ মো. এহসানুল হক, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাহিদা জাফরিন তুলি প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. পলাশ রায়। এছাড়াও মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, রেসিডেন্ট ও ট্রেইনি চিকিৎসকেরাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা আত্মহত্যা প্রতিরোধে সামগ্রিক প্রচেষ্টা, মনের যত্ন নেয়া, চাপ মোকাবেলা করতে শেখা, বিষণ্ণতার লক্ষণ চিহ্নিত করা ও চিকিৎসা গ্রহণ, আশাবাদী হওয়া, আবেগ সঞ্চারণ, ফলপ্রসূ প্যারেন্টিং, প্রতিরক্ষামূলক ফ্যাক্টরগুলোকে বৃদ্ধি ও কাজে লাগানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন ও পরামর্শ দেন।
বলা বাহুল্য, 'কর্মের মাধ্যমে আশার সঞ্চার' প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ২১ তম 'বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস'।
এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ৪র্থ ও ৫ম বর্ষের বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এতে 'বৈজ্ঞানিক উপস্থাপনা' পেশ করেন ফেইজ-বি রেসিডেন্ট ডা. ফারজানা ইয়াসমিন তমা। গবেষণায় জানা যায়, প্রতি বছর ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। প্রতি মিনিটে আত্মহত্যায় ইহলীলা সাঙ্গ হয় অন্তত ৮০ জনের যার মধ্যে পুরুষই বেশি। এরপর আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক কুইজে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। বিজয়ী ৫ জনকে দেয়া হয় আকর্ষণীয় পুরস্কার। এছাড়া আত্মহত্যা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ১নং লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক সভাটি সঞ্চালনা করেন ডা. মেহেরাজ শারমিন।
No comments